সন্তানকে যেভাবে জিনিয়াস বানিয়ে তুলবেন।

১. সন্তানকে নিয়মিত দুধ পান করানোর রুটিন তৈরি করুন। যখন-তখন খাওয়াতে যাবেন না। রুটিন অনুযায়ী খাওয়ান। এতে সে সুস্থ থাকবে।



২. সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। এটা সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


৩. অনেক বেশি সাজসজ্জা করাবেন না।


৪. আপনার ছোট্ট সন্তানকে কোনো কিছুর ভয় দেখাবেন না। বাঘ, ভাল্লুক, পুলিশ ইত্যাদির ভয় তার মধ্যে ঢুকিয়ে দেবেন না। অনেক নারীরা সন্তানকে শান্ত করার জন্য এগুলো করে; কিন্তু পরিণামে সন্তান অত্যন্ত ভীতু ও দুর্বল চিত্তের হয়ে যায়।


৫. তাকে রাতের প্রথম প্রহরেই ঘুমাতে দেবেন না।


৬. ঘুম থেকে দ্রুত ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন।


৭. সন্তান ভালো কোনো কাজ করলে তাকে ধন্যবাদ দিন, বাহবা প্রদান করুন। কিছু পুরস্কার তুলে দিন। এতে সে উৎসাহ পাবে। তার মনোবল বৃদ্ধি হবে।


৮. তার দায়িত্বে পরিশ্রমের কিছু কাজ দিন। এতে তার মধ্যে অলসতা স্থান গেঁড়ে বসতে পারবে না। শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকবে। উদাহরণত, ছেলেদের হালকা ব্যায়াম করতে বলুন। এক মাইল, আধা মাইল দৌড়ানোর কাজ প্রদান করুন। মেয়েদেরকে চাক্কি অথবা চরকি ঘুরানোর দায়িত্ব দিন।


৯. তাদেরকে নিজেদের কাজ নিজেদের হাতে করার প্রতি অভ্যস্ত করে তুলুন। অন্যথায় তারা অলস হয়ে যাবে। তাদেরকে বলুন, যেন নিজেদের বিছানা নিজেরাই বিছায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে যেন বিছানা ভাঁজ করে রাখে। কাপড়চোপড় নিজ দায়িত্বে আলমারিতে রাখে। কোনো কাপড় ছিঁড়ে গেলে যেন নিজেরাই সেলাই করে। কাপড়চোপড় লন্ড্রি করতে দিলে যেন গণনা করে দেয়। কোন কালারের কাপড় কয়টা দেওয়া হলো, তা যেন লিখে রাখে।


১০. মেয়েদের বলবেন, যেন ঘরের রান্নাবান্না মনোযোগ দিয়ে দেখে এবং ধীরে ধীরে নিজেরাও তা শিখে ফেলে।


১১. হাঁটাচলার ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করুন, যেন অনেক দ্রুত না হাঁটে। চোখ উপরে তুলে যেন না চলে।


১২. সন্তানকে মাঝেমধ্যে সামান্য কিছু টাকা-পয়সা দিন। তা দিয়ে যেন সে নিজের মন মতো কিছু কিনতে পারে। তবে অবশ্যই লক্ষ রাখবেন, যেন আপনার থেকে লুকিয়ে কোনো কিছু ক্রয় না করে।


১৩. ছেলে সন্তানকে সাদা কাপড়ের প্রতি উৎসাহিত করুন। সাদা কাপড়ের আগ্রহ তার মনে ঢুকিয়ে দিন। রঙিন ও উজ্জ্বল পোশাকের প্রতি ঘৃণা তৈরি করে দিন। তাকে বলুন, 'এসব পোশাক পরিধান করে মেয়েরা। তুমি তো মাশাআল্লাহ পুরুষ! তুমি কেন ওগুলো পরতে যাবে?' সর্বদা তার সামনে এ ধরনের কথা বলুন।


১৪. আর মেয়ে সন্তানকে অনেক বেশি চাকচিক্যময় পোশাক পরিধান থেকে বিরত রাখুন। অধিক চাকচিক্য ও কৃত্রিম সাজসজ্জার অভ্যাস তাদের মধ্যে গড়ে উঠতে দেবেন না।


১৫. আপনার সন্তানকে তার মা-বাবা ও দাদার নাম মুখস্থ করিয়ে দিন। সময়ে সময়ে তা জিজ্ঞেস করুন, যেন স্মরণ থাকে। আল্লাহ না করুন, কোনো সময় হারিয়ে গেলে এর কল্যাণে তাকে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।


১৬. আপনার সন্তানকে সবার নিকট আসা-যাওয়ার প্রতি অভ্যস্ত করে তুলুন। এমন যেন না হয় যে, একজনের কাছেই সব সময় থাকে। নাহয় ওই ব্যক্তি কখনো কোনো প্রয়োজনে বাইরে গেলে সন্তানের জন্য তার বিচ্ছেদ কঠিন হয়ে উঠবে। তার জন্য ধৈর্যধারণ করা কষ্টের হয়ে যাবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url