নিজেকে যতটা গোপন রাখবেন, ঠিক ততটাই শক্তিশালী হবেন।

১. পেশাদার হোন, 

সময়মতো, মনোযোগ দিয়ে কাজ করুন। কে কী বলল বা করল এসবের পিছনে না ছুটে নিজের কাজে মন দিন। ব্যক্তিগত বিষয় অফিসে টেনে আনবেন না। 

২. কম কথা, বেশি কাজ, 

অফিস গসিপ বা কানাঘুষা এড়িয়ে চলুন। কথা যত কম, বিপদ তত কম। 


৩. কৌশলী হোন, কিন্তু সন্দেহপ্রবণ নন, 

সবাইকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করবেন না। তবে অকারণে সন্দেহ করলে নিজেই অস্থির হয়ে পড়বেন।


৪. দলবাজি নয়, সবাইকে সম্মান দিন, 

কোনো নির্দিষ্ট দলে নিজেকে জড়াবেন না। সবার সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করুন। 


৫. নিজের সীমা নির্ধারণ করুন 

সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করবেন না। ‘না’ বলতে শিখুন। কে আপনার সময় অপচয় করছে, তা চিনে নিন। 


৬. যুক্তি দিয়ে প্রতিক্রিয়া দিন 

কারও কথায় উত্তেজিত হয়ে আবেগে ভেসে যাবেন না। ঠান্ডা মাথায় ভাবুন, প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতনদের জানান। 


৭. দক্ষতা গড়ুন ও আপডেট থাকুন 

আপনি যদি কাজের বিষয়ে দক্ষ হন, তবে কেউ সহজে আপনাকে দুর্বল করে তুলতে পারবে না।

আর শুধু এই প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে থাকবেন না। মনে রাখবেন এই প্রতিষ্ঠান চিরকাল আপনার থাকবে না। তাই নিজের স্কিল আপডেট রাখুন, নতুন দক্ষতা অর্জন করুন, ট্রেনিং নিন, সার্টিফিকেট অর্জন করুন। 


৮. নম্র থাকুন, আত্মমর্যাদা বজায় রেখে 

নম্রতা মানে সবাইকে "হ্যাঁ-স্যাঁ" বলা নয়। কারো সঙ্গে দ্বিমত হলে সেটিও ভদ্রভাবে প্রকাশ করা যায়। ভদ্রতা ও বিনয় হলো এমন এক গুণ, যা আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। 


৯. একজন মেন্টর বা বিশ্বাসযোগ্য সহকর্মী রাখুন 

যার সঙ্গে আপনি নিজের কথা খোলাখুলি ভাগ করতে পারেন। মানসিকভাবে এটা খুব সহায়ক। 


১০. মানসিক শান্তি বজায় রাখুন 

অফিসের দুশ্চিন্তা যেন বাসায় না পৌঁছায়। পরিবার, প্রার্থনা, ঘুম ও নিজের ভালো লাগার কাজের মাধ্যমে নিজেকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখুন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url