বস হওয়া সহজ, লিডার হওয়া কঠিন। কিন্তু কেন?

আমরা প্রায় দেখি — অফিসে, প্রকল্পে, দলের মধ্যে একজন মানুষ নিয়ন্ত্রক ভঙ্গিতে “বস” হিসেবে কাজ করছে। তার অধীনে সবাই কাজ করছে। কিন্তু সেই নিয়ন্ত্রক নারীদের/পুরুষদের মধ্য থেকে কখনো কখনো এমন একজনও উঠে আসে, যাকে সবাই মানে, অনুপ্রাণিত হয় — সেই “লিডার”।



তথ্য দেখলে বোঝা যায়, শুধু পদবী বা কর্তৃত্ব হলেই লিডার হয় না। কিছু গবেষণা থেকে পাওয়া হলো:


সাধারণ “বস” বা ম্যানেজাররা বিভাগের প্রতিদিনের কাজ, পরিকল্পনা, বাজেট, নিয়ম-কানুন মেনে চলা ইত্যাদির দিকে বেশি মনোযোগ দেয়। আর এক “লিডার” হয় যিনি বিকল্প ভাবেন — দৃষ্টিভঙ্গা দেয়, মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, পরিবর্তন আনতে চায়। 


একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মরত ৩০৪ জন কর্মচারীর মধ্যে যারা তাদের নেতা/ম্যানেজারের আচরণ অনিশ্চিত বা অসম-রূপে অনুভব করেছেন (অর্থাৎ কখন ভালো, কখন খারাপ আচরণ) — তারা বেশি মানসিক চাপ অনুভব করেছেন। 


আরেকটি উৎসে বলা হয়েছে, “বস” বলতে যিনি সার্বিক নিয়ন্ত্রণ করেন, যিনি উপরে থেকে নির্দেশ দেন; “লিডার” বলতে যিনি টিমের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেন, টিমের অংশ হন। 


➡️ অর্থাৎ, শুধু “কর্তৃত্ব” থাকা যথেষ্ট নয় — মূল হচ্ছে মানুষের মন জয় করা, ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গা দেওয়া, টিমকে সঙ্গে নিয়ে চলা, এবং বিশ্বাস ও অনুপ্রেরণা তৈরি করা।


---


📌 কিছু মূল পার্থক্য যেগুলো “বস vs লিডার”-এ দেখা যায়:


👉 বস নির্দেশ দেয়, লিডার অনুপ্রাণিত করে। 

👉 বস কাজ চান যাতে ঠিক হয়, লিডার চান যাতে “সঠিক কাজ” হয় এবং টিম শিখে এগোয়। 

👉 বস বেশি নিয়ন্ত্রণ করে, লিডার সুযোগ ও দায়িত্ব ভাগ করে দেয়। 

👉 বস সাধারণত বর্তমান রক্ষা করে, লিডার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পরিবর্তন আনে। 


---


🚀 আপনি যদি লিডার হতে চান — তাহলে ট্রাই করুন এইগুলো:


👉 দলের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলুন, তাদের মত শুনুন।

👉 শুধু “কাজ করুন” বললে হবে না — বলুন “কেন” করা হচ্ছে, এবং “কিভাবে” করা যেতে পারে এই বিষয়ে।

👉 দায়িত্ব ভাগ করুন, সিদ্ধান্ত নিতে তাদেরকে অংশীদার করুন।

👉 নিজের আচরণ দিয়ে উদাহরণ দিন — আপনি যেভাবে কাজ করবেন, তারা দেখবে।

👉 সমস্যা দেখা দিলে প্রথমে একসঙ্গে বসে সমাধান খুঁজুন; শুধু ভুল ধরলে হবে না।

👉 পরিবর্তনের জন্য স্বাভাবিক নিয়ম ভেঙে নতুন ভাবনা আনতে সাহস রাখুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url