প্রবাসী হলো টাকার মেশিন চাপ দিবে - টাকা আসবে।
প্রবাসী হলো টাকার মেশিন চাপ দিবে - টাকা আসবে।
বাবা - মা- ভাই - বোন - সবাই যেন টাকার উপর বিত্তি করে আমাকে তারা ভালোবাসে
প্রতি মাষে বেতন পাওয়ার আগে মা বাবার কল বাবা কবে টাকা পাবি - বেতন টা পেয়ে সাথে সাথে পাঠাই দিবি।
বোন - টাকা কবে দিবা - আমার তো প্রাইভেট বিল বাকি আছে বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাবো।
ভাই - কবে টাকা দিবা ভাই তুমি - বুন্ধরা সবাই বাইক দিয়ে ঘুরে - আমার বাইক কিনে ওই দেওয়া লাগবে
মাষ দিন না যায়তে যায়তে সবার - চাহিদা যেন শেষ ওই হয় না। আমি বেতন পাওয়ার পর - আমার আর টাকা থাকে না হাতে।
সবার চাহিদা যেন শেষ নাই - আমি যে একটা মানুষ তারা হয়তো ভুলে গেছে। আমার ও তো শখ আল্লাত - আছে সেটা হয়তো তারা জানে না।
মানে প্রবাসীরা জম্ম হইছে যেন সবার শখ মিঠাইতে।
গতো ঈদে আমার জন্য এক টাকা শপিং করি নাই। এবং কি সবার সপিং খরচ দিয়া। আমার হাতে খাবার টাকা ছিলো না। তার পর ফ্যামেলী অভিযোগ শেষ নাই।
এই ভাবে কেটে গোলো পাচ বছর - মন চায়লো দেশে যামু সবাই কে দেখমু - মন টা কিছু খুশি খুশি ছিলো।
তিন মাষ ধরে বেতন টাকা জমায় রাখলাম যেন বাড়ি গেলে খরচ করতে পারি । দুঃখের বিষয় হলো। মা বাবা কোন কল নাই কেউ খোজ খবর নেই।
কারন আমি টাকা পাঠায় না বলে- তার মা কে কল দিলাম ।
মা কি হইছে কল দেওনা কিছু না- পরে মা বলতে কল দিছোত কেন আমরা মরছি নাকি বেচে আছি জানার জন্য।
পরে বললাম মা কি হইছে বলো। পরে মা বলতাছে তোর বাবা জায়গা কিনবো তোর ভাই প্রতিদিন বাইক এর তেন জন্য টাকা চায়৷ - তোর বোন স্কুলে যাবে খরচ লাগবো । টাকা দেও না তিন মাষ ধরে - কেমন্নে চলি মরলাম নাকি বাচলাম সেটা খবর নিছোছ৷
তার পর সাথে সাথে রুমে গিয়ে পাসপোর্ট টা ছিরে হাতে জমানো সব টাকা - ব্যাংকে দিয়ে দিলাম। টাকা ছাড়া যে হতো কেউ ভালো নাই আমি চলে গেলাম সবাই কে ছেড়ে তার পর ছেলে টি রুমে ফাশি দিয়ে জুলে মারা যায়।
কিছু কথা বলি - প্রবাসে প্রথম সব থেকে বেশি প্যারা আকামা।
তার পর কফিল সব সময় জালাজন্তরা করে
তারা প্রতি দিন খবুজ নামে রুপি খায় - যেটা আপনি কখনোই খাবোন না।
তারা অনেক হিসাবি একটা টাকা নষ্ট করে না।
শুধু দেশের মানুষ গোলা কে ভালো রাখবে বলে।
যার ভাই বাবা স্বামী বিদেশ থাকে দয়া করে তাদের কে ভালোবাসুন।
তারা নিঃস্বার্থ একটু ভালোবাসা চায় আর কিছু না। তাদের কে একটু বুঝুন।
